BENGALBYTE.IN
ভুবনেশ্বরের বিমানবন্দর থেকে ২৬০ কিলোমিটারের পথ দারিংবাড়ির। ট্রেনে করে গেলে আপনাকে নামতে হবে ব্রহ্মপুর রেল স্টেশনে।সেখান থেকে গাড়ি ভাড়া করে পৌঁছে যেতে পারেন গন্তব্যস্থলে
ফুলবনি, বালিগুডা, উদয়গিরির পথ পেরিয়েও দারিংবাড়ি পৌঁছে যেতে পারেন। তা হবে আপনার উপরি পাওনা।
মেঘ ও কুয়াশায় ঘেরা দারিংবাড়ির মূল আকর্ষণই হল এখানকার ঝর্না, নদী আর পাহাড়। পাহাড় জুড়ে রয়েছে নয়নাভিরাম সবুজের ছড়াছড়ি।
এখানকার অন্যতম বৈশিষ্ট্য হল মশলার বাগান যা এই জায়গাটিকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলেছে
এখানে রয়েছে লুদু জলপ্রপাত, দারিংবাড়ি জলপ্রপাত, মড়ুবান্দা জলপ্রপাত, এবং পুতুদি জলপ্রপাত যা ঘন অরণ্য দ্বারা বেষ্টিত। অ্যাডভেঞ্চারপ্রিয় পর্যটকদের মন মাতিয়ে তুলতে এগুলোই বোধহয় যথেষ্ট।
কাশ্মীরের ঝিলাম নদী না থাকলেও ওড়িশার এই কাশ্মীরে রয়েছে দলুরি নদী যা সশব্দে অবিরাম বয়ে চলেছে ঘন পাইন জঙ্গলের মধ্য দিয়ে। বর্ষায় এর রূপ হয়ে ওঠে আরও মোহময়ী।
এখানকার স্থানীয় দর্শনীয় স্থানগুলি হল লাভার্স পয়েন্ট, সাইলেন্ট ভ্যালি, হিল ভিউ পার্ক ইত্যাদি। গাড়ি ভাড়া করে এই জায়গাগুলো ঘুরে নিতে পারেন। সবুজে মোড়া প্রকৃতির সৌন্দর্য পাখির কলকাকলিতে সজীব হয়ে উঠবে।
পাইনের সারিতে ঘেরা দারিংবাড়িতে রয়েছে এক বিশাল কফি ক্ষেত।
এখানকার আরেকটি বিশেষ আকর্ষণ হল হিল ভিউ পার্ক । পুটুডি ঝর্নার পাশেই রয়েছে এক দারুণ পিকনিক স্পট।
শীতকালে দারিংবাড়ি ভ্রমণ করতে গেলে পেয়ে যেতে পারেন বরফও। শুধু শীতকালেই নয় গ্রীষ্মেও ঘুরে দেখার অনেক কিছু রয়েছে এখানে। ক্যাম্পিং করতে চাইলে সেই সুযোগও আছে দারিংবাড়িতে।
এখানে ১,৫০০ টাকা থেকে শুরু করে ৫,০০০ টাকা অবধি বাংলো , হোটেল এবং রিসোর্ট রয়েছে। হোটেল মিডটাউন দারিংবাড়ি, ইকো রিসর্ট দারিংবাড়ি, হোটেল ইউটোপিয়া।কাস্টমাইজড ট্যুর করতে চাইলে তাঁরা Traveller's Delight এ যোগাযোগ করতে পারেন।
Thanks For Reading!
More Amazing Contents, Swipe Up ↑